হাওজা নিউজ এজেন্সি: গতকাল (বুধবার) এক বিবৃতিতে সংগঠনের এ কঠোর অবস্থান তুলে ধরেছেন হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করেছে; কাজেই তেল আবিব পুরোপুরি চুক্তি মেনে না চলা পর্যন্ত আর কোনো পণবন্দি মুক্তি পাবে না।
কাসেম বলেন, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট, আমরা আমেরিকা বা ইসরায়েলের হুমকির ভাষা মেনে নেব না।”
আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরের মধ্যে পণবন্দিরা মুক্তি না পেলে ইহুদিবাদী যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজায় আবার ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করার যে হুমকি দিয়েছেন তার জবাবে হামাসের এ কঠোর অবস্থান ঘোষিত হলো। এছাড়া, বুধবার ইসরায়েলি যুদ্ধমন্ত্রীও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইহুদিবাদী পণবন্দিরা মুক্তি না পেলে এবার গাজায় আগের চেয়েও ধ্বংসাত্মক হামলা চালানো হবে।
ইহুদিবাদী কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সম্প্রতি বলেছেন, আগামী শনিবারের মধ্যে হামাস সকল পণবন্দিকে মুক্তি দিতে ব্যর্থ হলে গাজার জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দেয়া হবে।
ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম পর্ব গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। চুক্তিতে বর্ণিত সময়সীমা মেনে হামাস ও ইসরাইল পরস্পরের বন্দিদের ঠিকমতো মুক্তি দিয়ে আসলেও গাজাবাসীর ওপর হামলা না চালানো এবং এই উপত্যকায় অবাধে ত্রাণ প্রবেশ করতে দেয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে না তেল আবিব।
এর প্রতিবাদে গত শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ তিন ইহুদিবাদী পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার পর হামাসের সামরিক মুখপাত্র আবু ওবায়দা হুমকি দেন, তেল আবিব যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুরোপুরি মেনে চলতে ব্যর্থ হলে আগামী শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্ধারিত দিনের পণবন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হবে। আবু ওবায়দার ওই ঘোষণার জবাবেই মূলত মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা গাজায় আবার আগ্রাসন চালানোর হুমকি দিয়েছেন।
আপনার কমেন্ট